ঢাকাসোমবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞায় জেলেরা পাড়ে, নদীতে চলছে প্রশাসনের টহল

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৪, ২০২৪ ৩:০৯ অপরাহ্ণ । ১৯ জন

আবারও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে দেশের ছটি অভয়াশ্রমে। বিশেষ করে পদ্মা-মেঘনায় টহল জোরদার করেছে মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশ। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত শুধু শিকারই নয়, বন্ধ থাকবে এ মাছের বেচাকেনাও। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে বলে জানালেন জেলেরা। তবে এ সময় কর্মহীন জেলেরা চান সহায়তা।

অভয়াশ্রমগুলোতে আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী ও মৎস্য বিভাগের কঠোর নজরদারির মধ্যেই মা ইলিশ সংরক্ষণে চলছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। মৌসুম সফল করতে রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোর থেকে স্পিডবোট নিয়ে পদ্মা ও মেঘনা চষে বেড়ায় প্রশাসন।

অভিযানের প্রথম দিন জাল-জেলে শূন্য ছিল ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। মাছঘাটগুলোতেও নীরবতা। উৎপাদন বাড়াতে নদী ও সমুদ্রে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ করেছে সরকার। এ সময় শুধু ইলিশ আহরণই নয়, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত ও পরিবহনেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

জেলেরা বলছেন, মা ইলিশ রক্ষায় তারা এ নিষেধাজ্ঞা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। নৌকা-জাল সব তুলে রাখা শেষ। এ ২২ দিন তারা মাছ শিকারে যাচ্ছেন না। তবে সরকারের কাছে দাবি, তাদের যাতে চাল-ডাল দেয়া হয়।

অভিযান সফল করতে নির্বিঘ্নে কাজ করছে মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ।

ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ইলিশের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমরা কঠোর অভিযানে থাকবো, পাশাপাশি জেলে ভাইয়েরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখা হবে।’

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জেলেরা যেন কোনোভাবেই নদীতে না নামতে পারে এবং ইলিশ শিকার করতে না পারে।’

চাঁদপুর নৌ পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তাদের ৩০০ ফোর্স মোতায়েন আছে। এ ২২ দিন এসব ফোর্স বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়মিত অভিযান চালাবে।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে লাখ লাখ জেলে কর্মহীন হয়ে পড়ায় সরকারি সহায়তা ঠিকমতো পাওয়ার দাবি তাদের।