ঢাকারবিবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

ই-বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধিমালা বাস্তবায়নের দাবি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
নভেম্বর ১৯, ২০২৩ ৬:৩২ অপরাহ্ণ । ২০৩ জন

দিন দিন পরিবেশের জন্য ভয়ংকর আকার ধারণ করছে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য। দেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা থাকলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।  কারণ বেশিরভাগ মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান সেটা জানে না। আর তাই এ সমস্যা নিরসনে আইনের প্রয়োগ ও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বিশেষজ্ঞরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভয়েসের আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক যন্ত্রাদি ব্যবহারকারী এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, পরিবেশকর্মী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।

সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মোবাইল, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাদির ব্যবহার বেড়েছে, সাথে বাড়ছে ই-বর্জ্য। প্রতি বছর দেশে ৩০ শতাংশ হারে ই-বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। এ ধরনের বর্জ্য থেকে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা মাটি, বায়ু এবং পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যার সরাসরি প্রভাব এরই মধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে।

ভয়েসের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। যার মাত্র তিন শতাংশ সঠিক পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। বাকি ই-বর্জ্য ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয় বা পুড়িয়ে ফেলা হয় অথবা অদক্ষভাবে এই বর্জ্য থেকে পুনরায় ব্যবহার্য ধাতু নিঃসরণ করা হয়।

বক্তারা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থা এবং সার্কুলার অর্থনীতিতে এর সম্ভাবনা নিয়ে পর্যালোচনা করেন। তারা ক্রমবর্ধমান ই-বর্জ্যের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় আইনানুগ ব্যবস্থার সঠিক বাস্তবায়নের ওপরে জোর দেন।

সভায় আলোচনা করেন পরিবেশকর্মী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম সামাদ, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের সুফল প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. মেহেদি হাসান খান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পরোমা আরেফিন, ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) পরামর্শক গোলাম সারওয়ার, ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ তাহের খান প্রমুখ। ভয়েসের সিভিক সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সভায় নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ।