সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের মতোই জনস্বাস্থ্যের মারাত্নক ক্ষতিকর হওয়ায় ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধের বিশেষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ই-সিগারেট, ভ্যাপ বা হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গ্রহণ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবং সেই আলোকেই চুড়ান্তকরণ করে আমদানি নীতি ঘোষণা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর সংযোজন এবং সংশোধন সংক্রান্ত মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আমদানি নীতি চুড়ান্তকরণের ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত আগের মিটিংগুলোতেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধের বিষয়ে একই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্য সচিব। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও ই-সিগারেট আমদানি যেন অনুমোদন না করা হয় সেই বিষয়েও দাবি জানয়ে আসছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও ইলেকট্রিক সিগারেটের ভয়াবহতা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের ২৯ টি দেশ ই-সিগারেটের উৎপাদন-বিপণন-ব্যবহার এবং আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাবে বলেও জানান তিনি।
তরুণদের নেশায় আসক্ত করতে পেনড্রাইভসহ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মতো করে ই-সিগারেট তৈরি করছে। যা অত্যন্ত আকর্ষণীয় হওয়ায় তরুণরা ব্যবহার করছে এবং অভিভাবকদের সহজেই ধোঁকা দিতে পারছে পেনড্রাইভ বা ইলেকট্রিক গেজেটের মতো হওয়ায়। একইসাথে নিকোটিনের তরল মিশ্রণের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার যুক্ত করায় তরুণরা আকৃষ্ট হচ্ছে। তরল মিশ্রণের মাধ্যে প্রোপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসলসহ বিভিন্ন ধরে রাসায়নিক থাকে বলে জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
সম্প্রতি, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) ই-সিগারেট মিথ ও বাস্তবতা বিষয়ক উপস্থাপনায় তুলে ধরে, কিভাবে সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণদের আকৃষ্ট করতে ই-সিগারেটের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। এমনকী সিগারেট ছাড়ার কৌশল হিসাবে তারা ই-সিগারেটের প্রচারণা চালিয়ে তরুণদের বিভ্রান্ত করছে বলেও জানানো হয় ।