ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ই-সিগারেট নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৮, ২০২৪ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ । ৫৯ জন

ই-সিগারেট ও ভেপিং নিষিদ্ধসহ প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন তামাকবিরোধী তরুণ সমাজ ও আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ‘ই-সিগারেট ও ভেপিং নিষিদ্ধসহ প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবিতে ছাত্র-তরুণ সমাবেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন দাবি জানায় তারা। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী।

তরুণদের তামাকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানানোর পাশাপাশি তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে সংশোধিত আইন দ্রুত পাসের জন্য জোরালো দাবি তুলেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে আমাদের দেশের ৪৮ শতাংশই তরুণ জনগোষ্ঠী। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এর মধ্যে ৯ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ তামাক সেবন করে। তামাক কোম্পানির নানা রকম অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে কিশোর-তরুণেরা। আইনের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তারা বিক্রয়কেন্দ্রে পণ্য প্রদর্শনীর নাম করে কৌশলে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। আর এসব বিজ্ঞাপনে তারা শিশু-কিশোরদেরকে টার্গেট করছে। এতে করে তারা তামাকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

এদিকে, প্রচলিত সিগারেটের পাশাপাশি তরুণরা মারাত্মকভাবে ই-সিগারেটে আসক্ত এবং এর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে তারা। স্বাস্থ্য ক্ষতির বিবেচনায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের যে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছে তা বাস্তবায়িত হলে তরুণদের ই-সিগারেটের আসক্তি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

দেশে ১৫ বছরের ওপরে ধূমপায়ীর সংখ্যা শতকরা ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং এর নিচে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিশুই ধূমপায়ী। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা জরুরি।

আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এর সমন্বয়কারী মারজানা মুন্তাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমানসহ অনেকে।