হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট এক নতুন অস্ত্র, যা তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করছে। সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণদের মাঝে ই-সিগারেট উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণাও চালাচ্ছে। গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় এমনটাই জানান ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যরা। দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে তারা মনে করেন।
রাজধানীর বনানীতে ই-ক্যাব কার্যালয়ে ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টকে স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতির পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকী ই-সিগারেটকে তামাকপণ্য ব্যবহারের গেটওয়ে হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ই-ক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, তামাক কোম্পানি সবসময়ই বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করে দেশের জনস্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানি ও প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে এবং তরুণদের এই নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে।
ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়ার কোনো উপায় হতে পারে না। বরং এটি নতুন আরেকটি নেশায় আসক্ত হওয়া শুরুর জন্য দায়ী।তাই ই-সিগারেট আমদানি বন্ধ করতে হবে।
ই-ক্যাবের সদস্য হুরায়রা শিশিরের উপস্থাপনায় সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখেলেসুর রহমান, পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান, টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া প্রমুখ।