এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক জোট ‘এশিয়া প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কর্পোরেশন’ (অ্যাপাক) জোটভুক্ত দেশগুলো বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রায় ৬০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক কার্বনের ৬৫ শতাংশ নিংসরণ করে থাকে। শীর্ষ ১০টি কার্বন-ডাই অক্সাইড উৎপাদনকারী দেশের ৭টিই এই জোটের সদস্য।
তবে খুশির খবর হলো, এই দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে শুরু করেছে। এর ফলে এই অঞ্চলে বনায়ন ২০০৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ২২৭ লাখ হেক্টর জমিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ সোমবার সিঙ্গাপুরে অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে চার দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণে ন্যাশন্যাল প্রেস ফাউন্ডেশন এসব তথ্য তুলে ধরে।
এখানে আরও বলা হয়ছে, বনায়নের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোটভুক্ত এ দেশেগুলো তাদের বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
এছাড়াও এই দেশগুলোতে পরিবেশগত পণ্যের বাণিজ্যের পরিমাণ মোট বানিজ্যের ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০১৯ সালের মধ্যে ।
নতুন বা বিদ্যমান সবুজ প্রকল্পের অর্থায়ানের জন্য চালু করা বন্ড ২০২০ সালে ৯২৩০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কর্পোরেশনের জোটভুক্ত দেশের সংখ্যা ২১টি। এ দেশগুলো হলো, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চিলি, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, পেরু, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইপে, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম।