ঢাকাবুধবার , ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

এ পর্যন্ত লেবানন থেকে ফিরলেন ৫২১ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৬, ২০২৪ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ । ৩৬ জন

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে এ পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে লেবানন থেকে ফিরেছেন ১৮৩ জন। বুধবার (০৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফেরানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতেও লেবানন থেকে ফিরেছেন আরও ১৮৩ জন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন হতে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক, আটকেপড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে স্কাই ভিসন এয়ারলাইন্সের এসভিআই-৫০০২ ফ্লাইট যোগে ১৫১ জন বাংলাদেশি মঙ্গলবার মধ্যরাত ১টায় দেশে আসে।

উল্লেখ্য, এ ফ্লাইটটি ছিল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) অর্থায়নে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট। এর আগে ০৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ই কে ৫৮৪ ফ্লাইটে লেবানন থেকে আরও ৩২ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়। এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশি নিরাপদে দেশে ফিরল।

প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এ সকল বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ। আইওএমের পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সাথে তারা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন।

এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাদের সকলকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে এমনটা জানানো হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যেসকল প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে সরকার।