ঢাকারবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

কুমিল্লায় বন্যার্তদের মধ্যে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ । ৬৫ জন

কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলায় বন্যার প্রভাবে ডায়রিয়া, রেসপাইরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (আরটিআই), চর্ম, চোখের প্রদাহসহ মানুষ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বন্যা কবলিত ১৪টি উপজেলার মানুষের মধ্যেবিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এসব উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানুষ। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ২৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

আজ (৮ সেপ্টেম্বর) রবিবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বন্যার প্রভাবে ডায়রিয়া, রেসপাইরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (আরটিআই), চর্ম, চোখের প্রদাহসহ মানুষ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বন্যা কবলিত ১৪টি উপজেলার মানুষের মধ্যেবিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এসব উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানুষ। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ২৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানের লক্ষ্যে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতাল ডাক্তারা দিন রাত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ সকাল ৯টা থেকে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ মোকাম বাড়ি ঈদগাহ মাঠে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতাল ও ফতেহাবাদ ঐক্য ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে দেখা যায়। চিকিৎসকসহ ১৮ জনের একটি দল এ মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন।

একাধিক চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে বেশিরভাগই পানিবাহিত ও চর্মরোগী বেশি আসছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক লোকজনের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্তদেরও চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন নাসিমা আক্তার বলেন, বন্যার পানিতে পানিবাহিত রোগ ভাসছে। এসব পানিবাহিত রোগের ফলে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। আক্রান্তদের কালক্ষেপণ না করে হাসপাতালে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। জেলায় মোট ২০৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। কোনো ওষুধেরই অপ্রতুলতা নেই। আমরা সব মানুষকে সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলতে বদ্ধ পরিকর।