ঢাকাশনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

কুমিল্লা-ফেনীর বন্যার্তদের সবজির চারা ও সার দেবে শেকৃবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ । ৪৩ জন

আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সবজির চারা বিতরণ করবে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ। প্রাথমিক পর্যায়ে কুমিল্লা ও ফেনী জেলার পাঁচ উপজেলার ৫০০ জন প্রান্তিক কৃষককে বসতবাড়িতে চাষের জন্যে ২০ হাজার চারা দেওয়া হবে। পাশাপাশি বীজ থেকে ফসল তৈরিতে নিরাপদ সার হিসেবে ৪ কেজি ভার্মিকম্পোস্ট ও জৈবপ্রযুক্তি হিসেবে ১০০ মিলি ক্লিবায়ো দেবে শেকৃবি।

কুমিল্লার বুড়িচং, চান্দিনা, দেবীদ্বার উপজেলা এবং ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় এসব চারা বিতরণ করা হবে। এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা প্রদান করেছেন স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এরই মধ্যে সবজির চারার এক চালান দেওয়া হয়েছে এবং বাকি চারা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেরে মধ্যেই দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে পানি শুকালে বাণিজ্যিক চাষাবাদের জন্যও বীজ দেওয়া হবে।

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ থেকে জানা যায়, বন্যাদুর্গত এলাকায় চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বসতবাড়ির পানি একদমই কমে যাবে। সেসময় বাড়ির ভিটা-মাটিতে সবজি চাষ করতে পারবেন কৃষক। সবজির চারা হিসেবে বারোমাসি লাউ, বারোমাসি কুমড়া, মরিচ, বেগুন টমেটো এবং বেগুনের চারা দেওয়া হবে। এছাড়াও বীজ থেকে ফসল তৈরিতে নিরাপদ সার হিসেবে ৪ কেজি ভার্মিকম্পোস্ট ও জৈবপ্রযুক্তি হিসেবে ১০০ মিলি ক্লিবায়ো দেবে শেকৃবি। বীজ দিয়ে সহযোগিতা করেছে এআর মালিক সিড, কৃষিবিদ গ্রুপ সিড এবং বন্ধু সিড কোম্পানি। এছাড়া ভার্মি কম্পোস্টে ভিএসও এবং ১০০ ক্লিবায়োতে কনপাস কোম্পানি সযোগিতা করেছে। ১০০ মিলি ক্লিবায়ো দিয়ে ৫ বার স্প্রে করে যাবে, যা একই সঙ্গে বালাইনাশক হিসেবে কাজ করবে এবং সবজির উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

সার্বিক বিষয়ে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগেরে অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন বলেন, বন্যার শুরু থেকেই শেকৃবি বন্যার্তদের ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। একই সঙ্গে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে কৃষি পুনর্বাসনে ধানের চারা, সবজির চারা এবং বীজ ডেওপয়া হচ্ছে। সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ই তাদের সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। ব্যক্তিগত বা বিভাগের পক্ষ থেকে বড় পরিসরে সেবা করা বেশ কঠিন। এক্ষেত্রে প্রতিটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি ও কৃষকের সেবা সংশ্লিষ্ট একটি বিশেষ কমিটি থাকা প্রয়োজন, যারা যে কোনো প্রয়োজনে কৃষকের পাশে দাঁড়াবে।