গণপরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সাবিহা পারভীন(অতিরিক্ত সচিব)। আজ বুধবার ডিটিসিএ এর সেমিনার রুমে ডেভলপমেন্ট এ্যাকিটিভিটিস অব সোসাইটি (ডাস্) ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) যৌথভাবে আয়োজিত ‘গণপরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সাবিহা পারভীন(অতিরিক্ত সচিব) এর সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার(অতিরিক্ত সচিব)। এছাড়া বিআইডাব্লিউটিসি, বিআইডাব্লিউটিএ, বিআরটিসি, ডিএমপি, ভাইটাল স্ট্রাটেজি, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডাস্ তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপুর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচ্য বিষয়বস্তুর উপর উপস্থাপনা প্রদান করেন ডাস্ পলিসি এনালিস্ট আসরার হাবিব নিপু এবং উপস্থাপনার উপর মূল বক্তব্য প্রদান করেন ডাস্ টীম লীড আমিনুল ইসলাম বকুল। সেমিনারের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাটা’র ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিকে আরও কার্যকর করতে কিছু সুপারিশ জানানো হয়। তন্মধ্যে মালিক কর্মচারী সমন্বয়ে প্রতিটি বাস, লঞ্চ ও টার্মিনাল এলাকার উল্লেখযোগ্য স্থানে আইনানুসারে ধূমপানমুক্ত সাইনেজের ব্যবস্থা করা; সকল বাস, লঞ্চ ও ফেরীতে ধূমপান বন্ধ করা এবং টার্মিনাল এলাকা ও ক্যান্টিনে সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করা; গণপরিবহনে তামাকমুক্ত আইন প্রয়োগে পৃথক গাইডলাইন বাস্তবায়ন; ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১২ এর সাথে সমন্বয় করে তামাক নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ; গণপরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণের সাথে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষকদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং পরিবহন টার্মিনাল এলাকায় এনফোর্সমেন্ট বিভাগের সক্রিয় উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সেমিনারে আয়োজক সংগঠন ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন এইড ফাউণ্ডেশন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বিইআর, টিসিআরসি, সিএলপিএ, নাটাব, প্রত্যাশা, মানসসহ আরও অনেক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।