জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যাকবলিত পরিবারগুলিতে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেছে। গতকাল শনিবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ উইং এর যুগ্ম সচিব জনাব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে ভয়াবহ যে আকস্মিক বন্যা সংঘটিত হয়, তাতে সাড়া দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত বান্দরবান সদর ইউনিয়নে এফএও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিতে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
জাতিসংঘের সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড এবং স্পেশাল ফান্ড ফর ইমার্জেন্সি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন এর আর্থিক সহায়তায় এফএও পার্বত্য চট্টগ্রামের চারটি জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম এর ২৩ টি উপজেলাতে ৩৩,০০০ ক্ষুদ্র কৃষকের মধ্যে ধান ও সবজি প্যাকেজ বিতরণ করছে। সহায়তার মধ্যে রয়েছে ধানের বীজ, ১২ ধরনের সবজির বীজ, সার, কোদাল, পানির ঝাঁঝরি এবং বীজ/ধান সংরক্ষণের সাইলো বা ড্রাম।
গতকাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত বান্দরবান সদর ও পটিয়া উপজেলার বন্যা দুর্গত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। মহাপরিচালক মহোদয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য এফএও-কে ধন্যবাদ জানান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সংকটের সময়ে, সহযোগিতাই মুখ্য। আজকের বিতরণ সংকটকালীন সময় থেকে স্বাভাবিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে এবং আমাদের কৃষি সম্প্রদায়ের দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
এফএও বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিপ্রেসেন্টেটিভ (প্রোগ্রাম) এবং অফিসার-ইন-চার্জ জনাব নুর আহাম্মদ খোন্দকার বলেন, “এফএও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত। এই অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস-এর উপস্থিতি সম্মিলিত পদক্ষেপের গুরুত্বকে বোঝায়। ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে এফএও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলা সহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জীবিকা পুনরুদ্ধার এবং দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করা এই বিতরণের প্রধান উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি সরকার, এফএও এবং কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি প্রদর্শন করে।