পলিথিন আর পলিথিন, বিকট গন্ধ। কিন্তু পলিথিন আলাদাভাবে ফেলা সম্ভব হলে এ সমস্যা অনেক সম্ভব হবে। আমরা কি সেই অভ্যাস করতে পারি? এখানে হাজার হাজার মানুষ আছি প্রতিজন নিজের ঘরে উদ্যোগ নিলে এ শহর ছবির মতো হবে আবার।
পলিথিন ও প্লাস্টিক আলাদাভাবে দিলে, এটি একটি সম্পদ এবং পরিবেশের ক্ষতি অনেক কমানো যায়। অনেকেই হয়তো জানেন পলিথিন আলাদাভাবে বিক্রি হয়। সেই ভাবনা হতে একবার বাসায় একটি প্লাস্টিকে ঝুড়ি এনে আলাদা করে পলিথিন ও প্লাস্টিক রাখা শুরু করলাম। কদিন পর দেখি, আমার আলাদা ঝুড়ি অন্য কাজে ব্যবহার হচ্ছে। আর পলিথিন আগের মতোই ময়লার ঝুড়িতে। শিখলাম আচরণ পরিবর্তন কঠিন বিষয়। তাই এবার বাসার আমার ছোট ছানা পোনা সোলজার নিয়োগ করলাম।
তাদের মনোটিভেশন দিলাম, বাজার হতে আসা সকল পলিথিন ও প্লাস্টিক এই ঝুড়িতে থাকবে। আর প্রতিদিনের ময়লার সাথে কোন পলিথিন বা প্লাস্টিক যাবে না। প্রতি শুক্রবার আলাদা করে পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্লাস্টিক ও পলিথিন দিয়ে দেব। আমি আশা করি পরিবেশ বাচঁতে আপনারাও এ কাজে অংশগ্রহণ করবেন।
পাঁচটি করণীয়
১) প্লাস্টিক ও পলিথিন ফেলার জন্য একটি ঝুড়ি কিনে আনি।
২) বাসার সবাইকে প্লাস্টিক ও পলিথিন এ ঝুড়িতে ফেলার জন্য বলি।
৩) শুক্রবার সপ্তাহের জমানোর প্লাস্টিক ও পলিথিন পরিচ্ছন্নকর্মীদের আলাদাভাবে দিই।
৪) প্রতিদিনের ময়লা ঝুড়িতে যাতে প্লাস্টিক ও পলিথিন না যায় তা নিয়মিত মনিটরিং করি।
৫) অন্তত আরো দশজন বন্ধুকে এ কাজ করতে উৎসাহী করে।
আমাদের পরিবেশ আমরাই বাঁচাবো।
বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী ও জনস্বাস্থ্যবীদ অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন নিজের ফেসবুক আইডিতে এভাবেই নিজের এ উদ্যোগের কথা জানিয়ে এ পোস্ট দিয়েছেন। ইতোমধ্যে পোস্টটি অনেকের নজরও কেড়েছে। অনেকে তার পোস্টে সমস্যার সমাধান জানতে চেয়ে মতামতও চেয়েছেন। মোহাম্মদ তারেক উজ্জামান নামের একজন তার পোস্টে কমেন্ট করে জানতে চেয়েছেন, “বাট কাচা ময়লা তো আমাদের নিজেদের নিচে নিয়ে ফেলে আসতে হয়। আমাদের এলাকায় বাসা থেকে ময়লা নেয় না। তাই পলিথিনে ভরে সবজি ও মাছ মাংসের ময়লা ডাস্টবিনে ফেলতে হয়। এর সমাধান কি?”
জবাবে সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন লিখেছেন, “বিন নিয়ে যান, তারপর বিন নিয়ে আসুন।”
মারুফ হোসেন নামের আরেক এ উদ্যোগের প্রশংসা করে লিখেছেন, “ভালো উদ্যোগ। বিভিন্নভাবেই পরিবর্তনের চেষ্টা করে যেতে হবে।” অনেকে তার মতোই এভাবে প্লাস্টিক ও পলিথিন আলাদা করে রাখেন বলেও কমেন্ট বক্সে জানিয়েছেন।