ঢাকাশুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট নেই, দাবি ভোক্তা মহাপরিচালকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৮, ২০২৪ ৪:০৫ অপরাহ্ণ । ২৮ জন

সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করায় মেজাজ হারালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি)। তার দাবি, ডিমের বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। আর সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম সহনীয়সহ ভোক্তা কম দামে ডিম পাবেন বলে জানান প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক। এদিকে, ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১০ লাখ ডিম তেজগাঁও আড়তে আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র তিন লাখ।

গত কদিন ধরেই অস্থির ডিমের বাজার। পাইকারি থেকে খুচরা সবখানেই বাড়তে থাকে দাম। তারপর নড়েচড়ে বসে সরকার। নির্ধারণ করা হয় দাম; কিন্তু বেঁধে দেয়া দামে ডিম বিক্রি না করে বন্ধ করে দেয়া হয় আড়ত। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা।

তারপর একের পর এক চলে অভিযান; করা হয় জরিমানা। কয়েকদিনের নানা নাটকীয়তার পর সরকার নির্ধারিত ‘যৌক্তিক’ দামে ডিম বিক্রি করতে রাজি হন উৎপাদক ও পাইকারি বিক্রেতারা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোক্তাদের ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দরে ডিম কেনার কথা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ভোরের আলো ফোটার আগেই তেজগাঁও বাজারে আসতে শুরু করে ডিম বোঝাই ট্রাক। শুরু হয় বিক্রি কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় কাপ্তান বাজার ও তেজগাঁও বাজারে আগামী ১৫ দিন প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়।

উৎপাদক থেকে খুচরা পর্যায়ে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে কাপ্তান বাজারে উদ্বোধন করার পর শুক্রবার মধ্যরাতে তেজগাঁও বাজারে ডিম বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করতে আসেন ভোক্তা অধিকার ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দেন, নির্ধারিত দামেই বিক্রি হবে ডিম।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মাদ রেজাউল হক বলেন, উৎপাদক, পাইকার ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। নিয়মিত বাজার মরিটরিং করা হচ্ছে। সব ধরনের অপচেষ্টা রুখে দেয়া হবে। তবে ডিম সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ আলীম আখতার খান। তিনি দাবি করেন, ডিম বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। এরপরেও যদি কেউ কারসাজি করার চেষ্টা করে, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলেন কাজী ফার্মসের পরিচালক জাহিন হাসানও। তিনি জানান, ডিম সরবরাহে কোনো কমতি থাকবে না। উৎপাদক পর্যায়ে ডিমের কোনো সিন্ডিকেট নেই। বাজারে পর্যাপ্ত ডিম সরবরাহ করা হবে।

ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, তেজগাঁও আড়তে ১০ লাখ ডিম আসার কথা থাকলেও এসেছে তিন লাখ। পর্যাপ্ত ডিম আসলে কম দামে ডিম বিক্রি সম্ভব। সরবরাহ ঠিক থাকলে, সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই ডিম বিক্রি করা হবে।