তামাকের ওপর কার্যকর করারোপে আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) সকালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগে উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ আশ্বাস দেন।
এসময় তামাকের ব্যবহার উল্লেখ্যযোগ্য মাত্রায় কমাতে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনে কার্যকর করারোপের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান । মাননীয় মন্ত্রী আসন্ন বাজেটে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও, এফসিটিসির বাস্তবায়নে তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্নক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
উন্নয়ন সমন্বয়ের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী বরাবর নিম্মলিখিত প্রস্তাবগুলো দেয়া হয়েছে :
মধ্যম, উচ্চ, ও প্রিমিয়াম- এই তিন স্তরের সিগারেটের ওপরই ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা আছে। কিন্তু নিম্ন স্তরের সিগারেটের ওপর ৫৮ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা আছে। অথচ মোট সিগারেট ব্যবহারকারিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই এই নিম্ন স্তরের সিগারেট ব্যবহার করেন। কম বয়সী ধূমপায়ী এবং নিম্ন আয়ের ধূমপায়ীরা এর মূল ক্রেতা। তাই এই স্তরের ওপর তুলনামূলক কম সম্পূরক শুল্ক থাকা কাম্য নয়। তাই আগামী বাজটে নিম্ন স্তরের সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ শতাংশ করা দরকার।
আগের অর্থবছরগুলোর মত বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম অল্প অল্প করে না বাড়িয়ে এক ধাক্কায় অনেকখানি করে দাম বাড়াতে হবে। প্রতিটি স্তরের সিগারেটের দামই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় (১৫ থেকে ২০ শতাংশ) বাড়ানো দরকার। তুলনামূলক সস্তা সিগারেটের দাম বেশি করে বাড়াতে হবে (যেমন: নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম ১৫-২০ শতাংশ বাড়ানো দরকার)। তাহলে ১৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের মধ্যে সিগারেট ব্যবহারের হার ১৫.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩.৮০ শতাংশে নামানো যাবে।
এভাবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দাম বাড়ালে সিগারেট ব্যবহার কমে আসবে। পাশাপাশি সিগারেট থেকে রাজস্ব বাড়বে বলেও অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।