ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

তামাক কোম্পানির ফাঁদে পড়ে মাদকে আসক্ত হচ্ছে তরুণ সমাজ; প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৮, ২০২৫ ১২:৩৯ অপরাহ্ণ । ১০ জন

বাংলাদের প্রায় ৪৯% জনগোষ্ঠী তরুণ যারা আগামী দিনে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে। অথচ এই তরুণ সমাজ তামাক ও নানাবিধ নেশাদ্রবে আকৃষ্ট হচ্ছে যা তাদের কর্মদক্ষতা ও মেধাবিকাশে বড় অন্তরায়। পাশাপাশি ফুসফুসের অসুখ, হৃদরোগ, মস্তিষ্কের সমস্যাসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

এই বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কৈবর্ত সভা কক্ষে ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, সিএসডাব্লিউপিডি ফাউন্ডেশন, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে “তামাক ও মাদক প্রতিরোধে তরুণদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক, গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় সন্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং এর নির্বাহী পরিচালক ডেবরা ইফরইমসন, সিএসডাব্লিউপিডি ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান ও ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাখিল খন্দকার নিশান। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য’র সঞ্চালনায় উক্ত সভায় ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ভিডিও ডকুমেন্টেশান এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভায় বেসরকারী সংগঠন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় বক্তারা বলেন , মুনাফা লোভী তামাক কোম্পানি ও মাদক ব্যবসায়ি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তরুণদেরকে নেশার দিকে ধাবিত করছে। রাজস্ব আয়, চাকরি মেলা, চোরাচালান, সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচীর আড়ালে কোম্পানিগুলো তাদের কোম্পানি ও পণ্যের প্রচারনা চালাচ্ছে। এসকল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কোম্পানিগুলো তামাকের প্রতি তরুণদের মধ্যে একটা ইতিবাচক মানসিকতা তৈরী করে। যা পরবর্তীতে তামাকজাত দ্রব্য ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যে তরূণদেরকে আকৃষ্ট করছে।

বক্তারা আরো বলেন, ধূমপান হলো মাদকের প্রতি আসক্তি তৈরীর প্রথম ধাপ এবং তরুণদের ধীরে ধীরে মাদকের দিকে ধাবিত করে। তামাকের এই প্রভাবকে সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে বক্তারা তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পরিশেষে আজকের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী তরুণরা তামাক ও মাদক প্রতিরোধে তাদের উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক প্রচারণার মাধ্যমে তামাক ও মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব।