ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ জানুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ । ১৬৫ জন

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাতভর বৃষ্টি মতো কুয়াশা আর দিনের বেলা হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত। তীব্র শীতে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। শিশির থেকে রক্ষা পেতে অনেকে সাদা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন বীজতলা। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে জমিতে চারা রোপণের সাহস পাচ্ছেন না কৃষকরা।

তীব্র ঠান্ডায় কাজকর্মেও বেড়েছে ভোগান্তি। কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। ফলে কাজের ফাঁকে শুকনো খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা হিন্দুপাড়া গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বোরো আবাদের জন্য বীজতলার চারার পরিণত বয়স হয়েছে। কিন্তু প্রচুর ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে জমিতে চারা রোপণ করতে পারছি না। এদিকে বীজতলাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে প্লাস্টিক দিয়ে বীজতলা ঢেকে রেখেছি।

আরেক কৃষক মো. মন্তাজ আলী বলেন, যে শীত পড়েছে, কৃষি আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বিশেষ করে আলুক্ষেত ও ধানের বীজতলায় হীম ধরা শুরু করেছে। স্প্রে করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কী হবে আল্লাহ জানে।

শ্রমিক মো. রহমত আলী বলেন, ‘বাহে প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে। হাত-পা টট্টরিয়া নাগছে (বরফ মতো)। মাঠে এক-দেড় ঘণ্টা কাজ করলে আর কাজ করা যায় না। কাজের ফাঁকে আগুন তাপা নাগে। কী করমু, কাজ না করলে পেটে কী ভাত জুটবে।’

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, জেলায় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দু’তিনদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে। তবে মাসের শেষে একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা রয়েছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় কৃষকদের বোরো আবাদে বিলম্ব হচ্ছে। বীজতলা এখনো নষ্ট হওয়া শুরু করেনি। তবে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে চারা খাদ্যগ্রহণ করতে না পেরে পাতা হলুদ হয়ে যায়। বীজতলা নষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে কৃষকদের বাড়তি যত্ন ও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।