ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৬, ২০২৪ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ । ৭ জন

তৃতীয় দিনের মতো বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। কোনো সমঝোতা না হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেকে অতিরিক্ত খরচ করে বাড়ি ফিরছেন। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বাস মালিকদের আলোচনা সভা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা কেন যে ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।

পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সকল পরিবহনের বাসগুলো পৌরসভার নির্দেশনা মতো চলছিল। ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা বাসগুলো যাত্রীদের বেনাপোল চেকপোস্টে নামিয়ে দিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীদের জোরপূর্বক পৌর টার্মিনালে নামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং নানা ধরনের হয়রানি শিকার হন। পরে তাদের লোকাল বাসে করে চেকপোস্টে পাঠান টার্মিনালের থাকা পৌরসভার লোকজন।

প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে পরিবহন মালিক সমিতি তিনদিন ধরে পরিবহন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই পক্ষই তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় কোনো সমঝোতা হয়নি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যানজট নিরসনে নৌপরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে এটা করা হয়েছে। উপদেষ্টার নির্দেশ ব্যতিত আমাদের পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। পৌর টার্মিনাল থেকেই যাত্রী ওঠাতে এবং নামাতে হবে।

অপরদিকে পরিবহন মালিক সমিতি থেকে বলা হয়েছে, আগের নিয়মে বাস চলাচল করতে হবে। তা না হলে তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন।

পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, কয়েকদিন আগে শার্শা ইউএনও ও সুধী সমাজের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সেখানে যানজট নিরসনে নতুন পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমরা এই টার্মিনাল ব্যবহার করছি। তবে, যাত্রী হয়রানি ও নিরাপত্তার জন্য শেষ রাতের দূরপাল্লার পরিবহনগুলো যেন সীমান্ত ঘেঁষা পুরোনো টার্মিনালটি ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজীব হাসান বলেন, কী কারণে তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) ধর্মঘট ডেকেছে, আমরা সে বিষয়ে অবগত নই। তাদের কোনো কিছু বলার থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে পারে।

বেনাপোল পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনো সমঝোতা হয়নি। যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ হয়রানির হাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছি।