ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ ২০২৪

দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৪, ২০২৪ ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ । ১১২ জন

জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । অনুকূল আবহাওয়ায় বাম্পার আমের ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

দিনাজপুর জেলায় ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ফাল্গুন মাসে প্রকৃতি বদলের সঙ্গে সঙ্গে সবুজ পাতার ফাঁকে এখন আমের সোনালি মুকুলের ছড়া ছড়ি। দিনাজপুর জেলার চারপাশ জুড়ে আম গাছে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। মৌমাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মধু সংগ্রহে। আর বাগান চাষিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে গাছের পরিচর্যায়। দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, বসন্তের ফাল্গুন মাসে প্রকৃতির পরিবর্তন শুরু হয়েছে । গাছের পুরনো পাতা ঝরে বের হচ্ছে নতুন পাতা। আর সেই পাতার ফাঁকে বেরিয়ে আসছে আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের মুকুল।

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো, নুরুজ্জামান বলেন, জেলায় চলতি আমের মৌসুমে ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। আম চাষীদের যাতে আমের ভালো ফলন হয় সেই জন্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আম চাষিরা ভালো ফলন পাবেন।

দিনাজপুর সদর উপজেলার নসিপুর গ্রামের আমজাদ আলী বলেন, আমার দুই একর জমির উপর একটা ফজলি, বারিফোর, হাড়িভাঙ্গা, ছাতা পরা , ও ন্যাংড়া জাতের আম বাগান রয়েছে। বাগানে আম গাছ গুলোর বয়স প্রায় ১২-১৩ বছর হবে। প্রতি বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ আম ধরে। এবছর গাছ গুলোতে প্রচুর মুকুল এসেছে। আল্লাহ দিলে যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাহলে আমের বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে ।

জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাদাতপুর গ্রামের বাগান চাষী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার দেড় বিঘা জমির উপর একটা আম বাগান করেছি। বাগানে ফজলি, হিমসাগর,গোপালভোগ, মিশ্রিভোগ ল্যাংড়া, নাগ ফজলিসহ কয়েক জাতের আমের গাছ আছে। বাগানের বয়স ৮ বছর, প্রতিটি গাছ কলম করা, তাই ছোট থেকেই আম ধরেছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এবারও আমের ভালো ফলন পাব।

জেলার হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আরজেনা বেগম জানান, চলতি আম মৌসুমে এবার উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। বাগানের সংখ্যা ১৪৫ টি। এছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আমের গাছ রয়েছে। প্রায় গাছে আমের মুকুল এসেছে। আমরা বাগান চাষিসহ বসত বাড়িতে থাকা আম গাছ মালিকদের সেবা দিয়ে আসছি। এছাড়াও গাছের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । আশা করছি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পারাম আম এর ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।