ঢাকারবিবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

দুর্ঘটনারোধে নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ । ১৪৫ জন

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১৪টি সুপারিশ তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট-২০২৩ প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই সুপারিশমালা তুলে ধরেন।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, করোনার চেয়ে ভয়াবহ মহামারি বিবেচনায় সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্পে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা। সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে গঠিত সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট শক্তিশালী করা। সড়ক নিরাপত্তায় এরই মধ্যে প্রণীত যাবতীয় সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা। দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা এবং জেব্রা ক্রসিং অঙ্কন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা। গণপরিবহন চালকদের যুগোপযোগী পেশাদার ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা। সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং অনিয়ম-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা।

সুপারিশমালায় বলা হয়, গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স দিতে পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিলে আবেদনের সময়সীমা ৬ মাস নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

এছাড়াও স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া। ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমি গড়ে তোলা। উল্টো পথের আলো এবং পথচারীর পারাপার রোধে মহাসড়কের রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উচু করা। গণপরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, জেলা প্রশাসকদের প্রতিমাসে একদিন পরিচয় গোপন রেখে গণপরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

এতে বলা হয়, পরিবহনের প্রধানতম স্টেকহোল্ডার মালিক, শ্রমিক, যাত্রী ও সরকার হলেও দীর্ঘদিন যাবত এই সেক্টরে ভাড়া নির্ধারণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণসহ যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক-সরকার মিলেমিশে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়কে দুর্ঘটনা বেপরোয়া হারে বাড়ছে। খেসারত দিচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। যাত্রী সাধারণের মতামত ও অংশগ্রহণ ব্যতিরেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে এই সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার নানাভাবে চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। কোন কোন সময় সরকার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে। ফলে কিছু মালিক শ্রমিক নেতাদের হাতে এই সেক্টর দীর্ঘদিন যাবৎ জিম্মিদশায় রয়েছে।

এ সময় এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।