ঢাকাবুধবার , ২৭ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

দ্বীপ ও চরের জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৭, ২০২৪ ৫:০৫ অপরাহ্ণ । ১৩৭ জন

বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় দ্বীপ এবং নদীর চরে বসবাসকারী বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জলবায়ু-জনিত দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এর ফলে রংপুর ও ভোলা জেলার চরে বসবাসকারী জনসাধারণ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে বলেছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ (২৭ মার্চ ২০২৪) বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-‘২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি এবং বন্যা মোকাবেলা করার জন্য ৯শ টি জলবায়ু-সহনশীল ঘর মেরামত করা হবে। ৫শ পরিবারের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩০ টি সোলার ন্যানো-গ্রিড এবং ২০ টি ক্ষুদ্র দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় ও নদী চর এলাকার ইকোসিস্টেম-ভিত্তিক অভিযোজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত/রক্ষণাবেক্ষণ ও মজবুত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। নির্বাচিত দ্বীপগুলির জন্য জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করা হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। জরুরী উদ্ধার নৌযান বা ভাসমান অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় মানুষের জন্য জলবায়ু সহনশীল বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকদের জলবায়ু-সহনশীল কৃষি অনুশীলনের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সৌরচালিত হিমাগার ও সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের নিজ নিজ কর্মকাণ্ডে জলবায়ু ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৪ টি জলবায়ু অভিযোজন শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। জলবায়ু সচেতনতা প্রচার অভিযানের বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।