প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষা, বিষমুক্ত কৃষি ও নিরাপদ খাদ্যের দাবিতে নাগরিক সংলাপ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক। গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
‘জীবননাশ প্রাণনাশ, কীটনাশকে সর্বনাশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বারসিক দীর্ঘদিন ধরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর, হরিরামপুর, ঘিওর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্দিষ্ট কমিউনিটিতে প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ সুরক্ষায় কাজ করে চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ব্যতিক্রমী সংলাপের আয়োজন করা হয়।
একাডেমি মিলনায়তনে নাগরিক সংলাপে কৃষি প্রতিবেশ বিদ্যা-ভিত্তিক (এগ্রো ইকোলজি) প্রাণবৈচিত্র্য নির্ভর কৃষির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে নাগরিক সংলাপে ওপর ইতিবাচক ধারণা তুলে ধরেন বিশিষ্টজনরা।
সংলাপ ও মতবিনিময় সভায় কৃষি প্রতিবেশ সুরক্ষা কমিটির সভাপতি মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উন্নয়নকর্মী মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায়। কর্মসূচির ধারণা পাঠ করেন কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমান।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতারের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সানোয়ারুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি জমি সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমির হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার মৌসুমি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. নূর-ই আলম, অধ্যক্ষ ডক্টর মো. ফারুক হোসেন, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মো. রওশন আলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ, অধ্যাপক সাইদুস সাকলাইন, অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম খান, কমরেড দুলাল বিশ্বাস, অধ্যাপক মাইনুদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান হৃদয় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, খাদ্যে সার্বভৌমত্ব এখনি দরকার এবং নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা সময়ের দাবি। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে। ভেজাল বিরোধী অভিযান সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে। মাটির জীবন রক্ষা ও বিষমুক্ত জৈব বালাইনাশক কৃষি চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে।