ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

নীলফামারী স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে পরিবেশ রক্ষার বদলে দূষণের আশঙ্কা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৯, ২০২৪ ২:৪৯ অপরাহ্ণ । ১৩ জন

নীলফামারী শহরকে আর্বজনা ও দূষণমুক্ত রাখতে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ২.৬৯ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল। কিন্তু এতে আয়ের কোনো উৎস না থাকায় এবং গৃহস্থালি বর্জ্যে থাকা অতিরিক্ত পলিথিন বাছাইয়ের উন্নত প্রযুক্তির অভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এর আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারী পৌরসভার স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের কঠিন বর্জ্য শোধনাগার এবং মানববর্জ্য শোধনাগারে প্রতিদিন মানববর্জ্য দুই কিউবিক মিটার ও গৃহস্থালি কঠিন বর্জ্য পাঁচ থেকে সাত ট্রাক ফেলা হচ্ছে। মানববর্জ্য শোধনাগারে কোনো সমস্যা না থাকলেও লোকবল সংকট আর উন্নত প্রযুক্তির অভাবে পলিথিনের স্তূপ জমে কঠিন বর্জ্য শোধানাগারের বেহাল দশা। ফলে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের আয়ুষ্কাল কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পৌর শহরের দূষণকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রায় সাড়ে নয় কোটি ব্যয়ে ২০২০ সালে শুরু হয় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড প্রকল্প। ২৯.৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ ফিল্ডটি উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ২৭ জুন।

এখানে গৃহস্থালি কঠিন বর্জ্য ও মানববর্জ্য শোধনাগারের দুটি পৃথক ফিল রয়েছে। উভয় বর্জ্যের নিষ্কাষিত পানি শোধনের জন্য রয়েছে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি নীলফামারীবাসীর জন্য কোনো সুফল বয়ে আনছে না। বর্ষাকালে পানি জমে পচা দুর্গন্ধে পরিবেশ আরো বেশি দূষণ হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

নীলফামারী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারেক রেজা ও পৌর প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটির স্থায়িত্ব বাড়াতে আরো আধুনিক এবং লাভজনক করার জন্য তাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের প্রথম ধাপের স্থায়িত্ব ১০ বছর।