ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া কল্পনাপ্রসূত : দোকান মালিক সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১:২২ অপরাহ্ণ । ১০৮ জন

সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে খুচরা পর্যায়ে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াকে অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকেই নির্ধারণ করা দেওয়া পণ্যগুলো বিক্রি করার দাবি জানিয়েছে সমিতি। আজ (১৯ মার্চ ২০২৪) মঙ্গলবার দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

এসময় মহাসচিব জহিরুল হক ভুইয়াসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে খুচরা বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও সবজির মতো ২৯টি পণ্যের খুচরা পর্যায়ে মূল্যনির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। রোজার শুরুতেই খেজুর ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি অতি সাধারণ মানের খেজুরের ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১৪০ টাকা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না। এখন ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ দামে এসব পণ্যগুলোকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক বিক্রয়ের অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে পণ্যগুলোর বিক্রিত লাভ দিয়ে কর্মকর্তারা বেতন নেবেন। হয় তাদের বেঁধে দেওয়া দামে কৃষি বিপণনকে বিক্রি করতে হবে, না হলে এ প্রজ্ঞাপন স্থগিত করতে হবে। আমরা এ দামে বিক্রি করতে পারবো না। দাম বেঁধে দেওয়াটা অযৌক্তিক-অবাস্তব ও অর্থহীন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্রেতার সন্তুষ্টিই বিক্রেতার কাম্য। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ শ্রেণির ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৭ দফা দাবি পেশ করছি।