ঢাকামঙ্গলবার , ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

পলিথিন ব্যবহারে ৪২০৭ মামলা, ৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪ ৬:২৫ অপরাহ্ণ । ১০৬ জন

নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫১৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৪ হাজার ২০৭টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা।

এছাড়া ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা হয়েছে ১৬টি। জনসচেতনতা বাড়াতে নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এমপি নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পচনশীল প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচলনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সারাদেশের কঠিন বর্জ্যের সুষ্ঠু ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এরই মধ্যে সরকার কর্তৃক ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ এ মৌলনীতি হিসেবে ফাইভ-আর পলিসি (রিফিউজি, রিডিউস, রিইউজ, রিসাইকেল ও রিকভারি পলিসি) নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২১ জুন উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলাকে কোস্টাল এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে ওই এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ৩ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, পলিথিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় সরকার এরই মধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন এবং ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আইন অনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষ বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পলিথিন বন্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের আওতায় ২০১০ সালের জুলাই থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা উচ্ছেদ বা কারখানার মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে।