ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • অন্যান্য

পাইকগাছায় বাঁধ ভেঙে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৯, ২০২৪ ৫:০৮ অপরাহ্ণ । ২৪ জন

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভাঙনের সপ্তাহ পার হলেও ১৩ গ্রামের অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি। ওইসব এলাকার মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। স্থানীয় মানুষের সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পাঁচদিনের চেষ্টায় বাঁধ পুনর্নির্মাণ করলেও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা তাদের। দুর্যোগ বা উঁচু জোয়ারে কিছুদিন পরপর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢোকে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার কালীনগর গ্রামে ভদ্রা নদীর ৩শ’ ফুট বাঁধ ভেঙে পানি ঢোকে জনপদে। পাঁচ দিনের চেষ্টায় স্থানীয় মানুষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙা বাঁধ মেরামত শেষ করলেও পানিবন্দি রয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামে ভেসে গেছে প্রায় ৫শ’ ঘের-পুকুর, তলিয়ে গেছে ৯৫০ হেক্টর আমন ধানক্ষেত, ২২৫ হেক্টর ধানের বীজতলা ও ২৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত। এতে প্রায় ১০কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ জানান, ৯৫০ হেক্টর আমন ধানক্ষেত, ২২৫ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা ও ২৫ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক জানান, চিংড়ি ঘের ও পুকুর তলিয়ে প্রায় ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সরকারী সংস্থা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও নাজুক বাঁধ ফের ভাঙার শঙ্কায় দিন পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। বার বার ভাঙনের কারণ হিসেবে দুর্বল বেড়ি বাঁধকে দায়ী করে টেকসই বাঁধের দাবি তাদের।

আর বরাবরের মতো সংস্কারে জোর দেওয়ার পাশাপাশি টেকসই বাঁধের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-২, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, উঁচু জোয়ারের কারণে বাঁধ নির্মাণ করতে বেগ পেতে হয়েছে। কয়েকবারের চেষ্টায় প্রাথমিকভাবে নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন স্থায়িত্ব বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

এর আগে গত মে মাসের শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নম্বর পোল্ডারের তেলিখালী গ্রামের কাছে ভদ্রা নদীর ২৫০ মিটারের মতো বাঁধ ভেঙে সব এলাকা তলিয়ে যায়। এছাড়া রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ কিলোমিটার বাঁধের মাত্র ১০কিলোমিটার সংস্কার করতে পেরেছে পাউবো। বাকি ৩৫ কিলোমিটার এখনও অরক্ষিত-ই রয়েছে।