ঢাকাসোমবার , ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

পিরোজপুরে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার ফেরি ও পন্টুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২, ২০২৪ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ । ১৫ জন

অযত্ন-অবহেলায় পিরোজপুরে নষ্ট হচ্ছে ফেরি বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। তদারকি না থাকায় মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে এসব ফেরি ও পন্টুন। আবার চুরি হয়ে যাচ্ছে মালামাল। এ অবস্থায় অকেজো ফেরি ও পন্টুন অকশনে তুলতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

নদীবেষ্টিত জনপদ পিরোজপুর। জেলার মধ্যে অনেক নদীনালা এবং চারপাশে কচা, কালিগঙ্গা ও বলেশ্বরের মতো বড় বড় নদী থাকায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ফেরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পিরোজপুরের বর্তমানে ১১টি স্থানে ফেরি সার্ভিস চালু রয়েছে। সদরের বলেশ্বর, ইন্দুরকানী ও কচা নদীর বেকুটিয়া পয়েন্ট এবং বৈঠাকাঠা সড়কের দীর্ঘা ও কালিগঙ্গা নদীতে সেতু হওয়ায় ওই সব স্থানের ফেরি ও পন্টুনগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে মালামাল। আবার রাতের আধারে ফেরী ও পন্টুনের লোহা কেটে নিয়ে যাচ্ছে চোরচক্র।

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামের আব্দুল ছবুর মুন্সী বলেন, ‘বেকুটিয়া ফেরিঘাটে বসে বেশ কয়েকটি ফেরি নষ্ট হচ্ছে এবং রাতের আঁধারে একটি চোর চক্র এগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি এসব সম্পত্তি রক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।’

পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট-দেওনাখালি খেয়াঘাট এলাকায় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা দেওনাখালি খেয়াঘাট এলাকা থেকে হুলারহাট হয়ে জেলা শহরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। কিন্তু এই খেয়াঘাট থেকে যাতায়াত করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করি। এখানে একটি ফেরির ব্যবস্থা করা হলে আমরা যানবাহন নিয়ে জেলা সদরের সঙ্গে কাউখালী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মানুষ চলাফেরা করতে পারতাম।’

অকেজো ফেরি ও পন্টুনগুলো অকশনে তুলতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘তদারকি না থাকায় এসব ফেরি ও পন্টুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে ফেরির মালামাল। বাজারে লোহার দাম চড়া থাকায় রাতের আঁধারে ফেরি ও পন্টুনের লোহা কেটে নিয়ে যাচ্ছে চোরচক্র। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলায় মোট ১২টি ফেরি ও পন্টুন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। যার বেশিরভাগ মালামাল ইতোমধ্যেই চুরি হয়ে গেছে।