মৃত্যু ও আক্রান্তে দিন দিন রেকর্ড ভাঙছে ডেঙ্গু। প্রথমদিকে লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ায় হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী। সপ্তাহ ব্যবধানে খারাপ হচ্ছে রোগীর অবস্থা। নানা জটিলতা নিয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা বলছেন, লক্ষণ কম প্রকাশ পেলেও হেলা করা চলবে না। নিতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা নিতে রোগীরা এখানে ভিড় জমিয়েছেন।
আশি বছর বয়সি আব্দুস সামাদ ব্যাপারী ভর্তি হয়েছেন এ হাসপাতালে। তার স্বজনরা জানান, দিনকয়েক আগে প্রথমে হালকা জ্বর ছিল আব্দুস সামাদের। দু-তিন দিন চলে এভাবেই। অন্য কোনো লক্ষণ ছিল না। হঠাৎ জ্বর উঠে যায় ১০৫ ডিগ্রি ফারেন হাইটে। সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্ট। এর পরই দ্রুত তাকে এ হাসপাতালে এন ভর্তি করান।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ বছর ডেঙ্গুর চিত্র এ রকমই। প্রথমে তেমন লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও, হঠাৎ করেই জটিল আকার ধারণ করছে। ডেঙ্গুর জীবাণু ধীরে ধীরে শরীরে প্রবেশ করে প্রচণ্ড জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা থেকে শ্বাসকষ্ট সবই আঘাত হানে একসঙ্গে।
এমনই এক রোগী বলেন, জ্বরের চেয়ে শরীরে ব্যথা বেশি। প্রচণ্ড ব্যথা, সহ্য করার মতো না। এর সঙ্গে রয়েছে বমি বমি ভাব।
আইইডিসিআরের এক গবেষণা অনুযায়ী এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৯ দশমিক ২০ শতাংশ রোগীর সেরোটাইপ ডেন-২। যেখানে রোগী বোঝার আগেই হয়ে যান গুরুতর আক্রান্ত।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথম সাত দিন ডেঙ্গু পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার বিকল্প নেই।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সত্যজিত কুমার সাহা বলেন, জ্বরের সঙ্গে যদি পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা থাকে, পাতলা পায়খানা, বমি হওয়া, খেতে না পারা, দুর্বল লাগা, শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশ পেলে প্রচুর তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।