ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ আগস্ট ২০২৪

বন্যা নিয়ে সর্বশেষ তথ্য দিল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২২, ২০২৪ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ । ৪২ জন

বিপদসীমার উপর দিয়ে ১২টি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সেগুলো হলো- অমলশীদ (কুশিয়ারা) +২৩, শেওলা (কুশিয়ারা) +৬, মারকুলী (কুশিয়ারা) +০৯, মনু রেলওয়ে ব্রিজ (মনু) +৯৩, মৌলভীবাজার (মনু) +১১৫, কমলগঞ্জ (ধলাই) +৩২, বাল্লা (খোয়াই) +২৭৬, হবিগঞ্জ (খোয়াই) +১৯৫, পরশুরাম (মুহুরি) +৬৩, কুমিল্লা (গোমতী) +৭৭, রামগড় (ফেণী) +২১৮ এবং নারায়ণহাট (হালদা)+১৪। সকাল ৯টার পর হতে দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে যত মিলি মিটার। সোনামুরা (ত্রিপুরা) ২৬৯.০, হাওরা (ত্রিপুরা) ২০৫.০, কমলপুর (ত্রিপুরা) ১২৯.০, গজারিয়া (আসাম) ৮৯.০। সকাল ৯টার পর হতে দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.) হয়েছে। কুমিল্লা ১৬০.০।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরি তথ্য তুলে ধরেছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো-ফেনী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিগত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী- আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদী সমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরবর্তীতে উন্নতি হতে পারে।

এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে। এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা ইত্যাদি নদীসমূহের সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে, স্থিতিশীল থেকে পরবর্তীতে উন্নতি হতে পারে।

জানা গেছে, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ও বাপাউবো দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে।