ঢাকাশনিবার , ৯ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান কোনো অংশে কম নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পাবলিকহেলথ ডেস্ক :
মার্চ ৯, ২০২৪ ৩:১২ অপরাহ্ণ । ১২৫ জন

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয় বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক শুধু ডাক্তারের ওপরই নির্ভর করে না, একটা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার ওপরই নির্ভর করে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তি রেসিডেন্টদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, আমাদের চিকিৎসকদের যে ভালো মেধা আছে, তার অসংখ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। ভুটান থেকে রোগী এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এরকম নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশে অসংখ্য রোগী আসছে। হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। বাচ্চাদের যখন অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।

তিনি বলেন, আজকে যারা এখানে আমার সামনে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলবো। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এই দেশের লোকজন একদিন চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, ধৈর্য ধরে তাদেরকে সেবা দেওয়া। আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাবো, আসবো। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবো। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই তারা খুশি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় ও ভালো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যায়। আমাদের দেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত। যখনই কেউ রোগে আক্রান্ত হয়, সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের উচিত তাদের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কথা রোগীকে জানানো এবং সে অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, উত্তম আচরণ হলো ন্যায়-অন্যায় আর আসল-নকলের পার্থক্যকারী। আমার উচিত অন্যের সঙ্গে সেভাবেই আচরণ করা, যেমনটি আমি অন্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি। সবসময় ন্যায়কে ন্যায়, সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারাই নৈতিকতা। নৈতিকতার অভাবে দেশ ও জাতির উন্নতি ব্যাহত হয়, যোগ্য ব্যক্তিরা যথাযথ স্থানে পৌঁছতে পারে না এবং অযোগ্যদের আস্ফালন বৃদ্ধি পায়। যোগ্য ব্যক্তিরা হীনমন্যতায় ভোগে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।