ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাড়তি শুল্ক: আজও বেনাপোল দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ । ৭ জন

ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক অরোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এর ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো এই স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাড়ছে ফলের দাম। আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের লোকসান হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেন আমদানিকারকরা। এর ধারাবাহিকতায় আজও (বুধবার) আমদানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন।

এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক ফল আমদানি হয়। এর মধ্যে রয়েছে— আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা ও আঙুরসহ বিভিন্ন ফল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফল আমদানিকারক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে এর আগে বাংলদেশ ফ্রেস ফুড অ্যাসোসিয়েশন আল্টিমেটাম দিয়েছে। যেহেতু সেটা সরকার প্রত্যাহার করেনি, সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ফল আমদানিতে শুল্ক যদি কমানো না হয়, তাহলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বাজারে। এতে করে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফলের দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।’

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘হঠাৎ করে গত মাসের ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার, যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে।’

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি নূরউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ শতাংশ অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। আজও ভারত থেকে কোনো ফলের ট্রাক বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেনি।’

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোনো ফলের ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা। আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।’

এভাবে চললে আসন্ন রমজান মাসে ফলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।