ঢাকাবুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৬, ২০২৪ ১২:৩১ অপরাহ্ণ । ২৫ জন

১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস। এছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিগগিরই এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস।

এছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে।

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস থেকে তা কার্যকর হয়। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয়।

এদিকে, ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালন করে শেখ হাসিনার সরকার। পরের বছর দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস করা হয়। ২০২৩ সালে তা ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল, তখন ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। তবে ছয় বছর পর ২০০৮ সালের ২৭ জুলাই হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়।

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী ও ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পর্যায়ক্রমে শুরু হয়।

তবে গত ৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণ করে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার বাতিল করা হচ্ছে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসসহ আরও ৮টি দিবস।