ঢাকাসোমবার , ১০ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

বিধিমালা মেনে তৈরি করতে হবে খাদ্যের বিজ্ঞাপন : খাদ্যসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১০, ২০২৪ ৮:০৮ অপরাহ্ণ । ১০৯ জন

বিধিমালা মেনে খাদ্যের বিজ্ঞাপন তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) সকালে রাজধানীর বিএসএমএমইউর হলে ‘এনসিউরিং ফুড সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ: স্মার্টেস্ট স্ট্যাসেজিকস ফর আনএক্সপেক্টেড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (নিখাক) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটির আয়োজন করে।

ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশে যারা খাদ্য নিয়ে গবেষণা করছে তাদের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। কেননা দেশের বাজারগুলো ভরে গেছে ক্লিনিক ও ফার্মাসিতে। সারা বিশ্ব যে সংখ্যক ওমিপ্রাজল বিক্রি হয় তার বেশিসংখ্যক ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহার হয়। ডাক্তাররা অপ্রয়োজনেও এসব ট্যাবলেট দিচ্ছেন। এতে রোগ বাড়ছে।

অতিরিক্ত তেল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফুড সেফটি ও বাজারজাতে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কাজ করে। সকলকে নিয়ে একটা ট্রাস্কফোর্স করা হবে। সিঙ্গেল ফুড লাইসেন্স শুরু করা হবে। ইন্দোনেশিয়া এ কাজ করছে। যে খাবার যে তাপমাত্রায় থাকার কথা সেখানে সেটি না থাকলে সমস্যা তৈরি হবে। ঢাকায় নিরাপদ কোনো ল্যাবই নাই। এতে জানা যাচ্ছে না কোন খাদ্য নিরাপদ। এ জন্য দেশের আট বিভাগে আটটি ল্যাব তৈরি করা হবে ও ঢাকায় সেন্ট্রাল ল্যাব থাকবে।

নিখাক চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারলে অনেক রোগ কমে যাবে। আমাদের হাঁড়ি-পাতিলেও লেড রয়েছে। এটির পরিমাণ কত তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। পিভিসি পাইপ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা সেটাও দেখা দরকার। এগুলো তো ফুড গ্রেডেড না। অথচ আমরা বাসাবাড়িতে এসব ব্যবহার করছি।

নিখাকের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, খাদ্য নিয়ে বাংলাদেশের একেক আইনে একেক ধরনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য শুধু নিরাপদ হলেই চলবে না সেখানে প্রাপ্ততাও নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবহন, গুদামজাত এবং বাজারজাত পর্যন্ত নিরাপদ হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, শুধু খাদ্য নিরাপদ করলেই হবে না বরং আমাদের বাথরুম ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সব মহলের সহযোগিতা দরকার।

সেমিনারে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।