যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সংস্থাটির তালিকায় শীর্ষ ২০ ধীরগতির শহরের মধ্যে আরো আছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা এবং কুমিল্লা।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
অথচ যানজট নিরসন করে শহরকে গতিময় করতে ২০১২ সালের পর থেকে গত এক দশকে সড়ক, সেতু, মেট্রোরেল, উড়ালসড়কসহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এই সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ এবং মেট্রোরেলের একটি রুটের একাংশ ছাড়াও শহরের মধ্যে ছোট বড়ো অন্তত সাতটি নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে সরকার।
কিন্তু তাতে কোন কোন জায়গায় কমে আসলেও শহরের সার্বিক যানজট অনেক বেড়েছে, এবং কোন কোন জায়গায় ফ্লাইওভারের ওপরেও দীর্ঘ সময়ের যানজট দেখা যাচ্ছে প্রায়শই।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যানজট নিরসনে শহরকে গতিশীল রাখা কিংবা গতিময় করার চিন্তা থেকে এ শহরে কখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং নগর কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর চেষ্টাও কার্যকর করা যায়নি।
বুয়েটের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ সামছুল হক বিবিসিকে জানিয়েছেন, “মানুষকে পর্যাপ্ত গণপরিবহন দেয়ার মতো কৌশলী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মানসিকতাই এখানে নেই। বরং যানজট থেকে গেলে অনেকে খুশী হন কারণ তারা পরের প্রকল্প নিতে পারেন।”
বুয়েটের আরেকজন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোঃ হাদীউজ্জামান বলছেন, শহরের যানজট নিয়ে কখনো কার্যকর কোন গবেষণাও করেনি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
“এখানে একই সড়কে আঠার ধরণের যানবাহন চলছে। গতি আসবে কীভাবে। মূল সড়কগুলোর পাশে নিয়ম নীতি না মেনে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করা হয়েছে। জংশন বা স্টেশনগুলোতে ইন্টারচেঞ্জ বানানোর সুযোগই রাখা হয়নি,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।