যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর ও বাগেরহাটের মোংলা নৌবন্দরের মধ্যে স্থাপিত রেললাইনে গতকাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মোংলা কমিউটার নামের ট্রেনটি প্রথমবারের মতো ৫৪৯ যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টায় মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। অন্যদিকে মোংলা রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি বেনাপোলের উদ্দেশে ছাড়ে বেলা সোয়া ৩টায়।
বেনাপোল রেলস্টেশনের মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান জানান, সাতটি বগিসংবলিত মোংলা কমিউটার ট্রেনটির প্রথম যাত্রায় ৫৪৯ যাত্রী নিয়ে বেনাপোল ছাড়ে। এর মধ্যে সরাসরি মোংলা স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী ছিল ৩৭ জন। নিয়মিত যাত্রায় বেনাপোল থেকে মোংলা পর্যন্ত পৌঁছতে ট্রেনটির সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো। এ ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোনো বগি নেই, সবই ননএসি শোভন চেয়ার। জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ টাকা।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেন চলাচলের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ উদ্বোধন হয় গত বছরের ১ নভেম্বর। রেল চলাচল হলো এর প্রায় দীর্ঘ সাত মাস পর। আপাতত দিনে একটি ও সপ্তাহে ছয়দিন রেল চলবে এ রুটে। এর ফলে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে সরাসরি মোংলা বন্দরের সংযোগ তৈরি হলো।
বেনাপোল ও খুলনার মধ্যে ২০০০ সালে চালু হয় বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি কমিউটার ট্রেন। প্রতিদিন দুবার সকাল-বিকাল ট্রেনটি খুলনা ও বেনাপোলের মধ্যে চলাচল করত। সম্প্রতি খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় বেতনা এক্সপ্রেসের রুট বর্ধিত করে মোংলা পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ছাড়ার পর নাভারণ, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালী, চুলকাঠি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর মোংলায় পৌঁছবে।