ব্রাজিলের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬১ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ আগস্ট) সাও পাওলো রাজ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সাও পাওলো শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভিনহেদো শহরে বিমানটি যেখানে অবতরণ করেছিল সেখানকার স্থানীয় কোনো বাসিন্দা নিহত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি কর্মকর্তারা।
তবে ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এয়ারলাইন ভোয়েপাস জানিয়েছে, ভিনহেদোতে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এটিআর ৭২ দুই ইঞ্জিনের টার্বোপ্রপ বিমানটি ৫৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু নিয়ে সাও পাওলোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুয়ারুলহোসের দিকে যাচ্ছিল। বিবৃতিতে যাত্রীদের নামসহ একটি ফ্লাইট ম্যানিফেস্ট প্রকাশ করেছে তারা। তবে তাদের (যাত্রী) জাতীয়তা বা বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হয়নি।
বিমানটিতে ৫৮ জন যাত্রী ছিলেন বলে আগের একটি বিবৃতে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।
এদিকে ব্রাজিলের বিমান বাহিনীর বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের লেফটেন্যান্ট কর্নেল কার্লোস হেনরিক বালদি শুক্রবার বিকালের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বরফের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
সেন্টারের তদন্ত বিভাগের প্রধান বালদি বলেন,‘দুর্ঘটনার শিকার বিমানটি বেশ কয়েকটি দেশে মারাত্মক বরফের মধ্যে উড়তে সক্ষম। তবে আমাদের মতো দেশে নয়, যেখানে বরফের প্রভাব বেশি।’
পৃথক এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং বিমান বিধ্বস্ত ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করতে বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ শুক্রবার থেকেই মৃতদেহগুলো মর্গে স্থানান্তর শুরু করেছে। একই সঙ্গে মৃতদেহগুলো শনাক্ত করতে সাহায্য করার জন্য যে কোনও মেডিকেল, এক্স-রে এবং ডেন্টাল পরীক্ষার জন্য নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।