রাজবাড়ীর বাজারে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম হালিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমলেও এখনও সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। যদিও দাম খানিকটা নাগালের মধ্যে আসায় একটু স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে। এখন তারা দাবি করছেন, বাজার তদারকি আর সিন্ডিকেট ভাঙার। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমালে ৪০ টাকা হালিতে ডিম পাবে ক্রেতারা।
রাজবাড়ীতে গত সপ্তাহে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হালিতে ডিম বিক্রি হয়। অনেক ক্রেতা ডিম না কিনে বাড়ি ফেরেন। সেই ডিম বর্তমানের পাইকারিতে ৪৮ আর খুচরা পর্যায়ে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও খুচরা বাজারে সরকারের বাঁধা ডিমের দাম ৪৮ টাকার বেশি নয়।
ক্রেতারা জানান, শুধু ডিম নয় বাজারের সব কিছুই সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি। সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে আর বাজার তদারকি বাড়ালে ব্যবসায়ীরা বাড়তি মূল্য নিতে পারবে না। ক্রেতার সাধ্যের মধ্যেই আসবে ডিমের দাম। ডিম বিক্রেতারা জানান, খামারি পর্যায় থেকে ৪৬ টাকা হালিতে, ডিম কিনে এনে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৪৮ টাকা হালিতে। সেই ডিম ক্রেতারা কিনছেন ৫২ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, অনেকে নিয়মিত মাছ মাংস খেতে পারে না। ডিমের মাধ্যমে তারা পুষ্টির চাহিদা মেটায়। কিন্তু সেই ডিমের দামও এখন অনেক বেশি। খুচরা একটি ডিম কিনতে গেলে ১২ থেকে ১৪ টাকা লাগে এবং সেক্ষেত্রে দেশি হাস-মুরগির ডিমের দাম আরও বেশি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, রাজবাড়ীতে ডিম উৎপাদনকারী ৫৭৬ টি খামার রয়েছে। যা থেকে প্রতি বছর ১৮ কোটি ডিম উৎপাদন হয়।