ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

রাস্তায় নেমে দুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা : ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১১, ২০২৪ ৩:০২ অপরাহ্ণ । ৩৫ জন

উচ্চ আদালতের আদেশের পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের এখন আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাই নতুন কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীদের সরে আসার অনুরোধ ঢাকা মহানগর পুলিশের। রাস্তায় নেমে দুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েকদিনে ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। সর্বোচ্চ আদালত কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা দিলেও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং ডাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন রাজধানীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করে আসছে তাতে কোনো ধরণের বাধা দেয়নি পুলিশ। কিন্তু আদালতের রায়ের পর ঢাকা মহানগর পুলিশ আশা করে শিক্ষার্থীরা চলমান আন্দোলন থেকে সরে আসবে। কারণ উচ্চ আদালতের আদেশের পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের এখন আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

এসময় আন্দোলন থেকে সরে না এসে রাস্তায় নেমে দুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, একটি মহলের ইন্ধনে কোটা ইস্যুকে জটিল করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরিহার করে আদালতে সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে কেউ চাকরি পেয়েছে প্রমাণিত হলে, সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

অন্যদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বাংলা ব্লকেড-এর ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করা হবে।

এ সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাহী বিভাগের সর্বোচ্চ পদ থেকে প্রতিশ্রুতি পেলে শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছাড়বেন পাশাপাশি যৌক্তিক সংস্কার করে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা রাখারও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।