ঢাকারবিবার , ৭ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

রেকর্ড মৃত্যুর পরও ডেঙ্গু নিয়ে চসিকের নীরবতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৭, ২০২৪ ১:২৭ অপরাহ্ণ । ৯৪ জন

ডেঙ্গুতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গেল বছর রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হলেও এবার এখনো পর্যন্ত এডিস নিধনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সিটি করপোরেশনকে। এদিকে মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এ বছর মৃত্যুহার আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিভাগের।

জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গেল বছর ডেঙ্গুতে মারা যায় ১০৭ জন। আর আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৮২ জন। যেখানে ২০২২ সালে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরী মিলিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ৫ হাজার ৪৪৫ জন ‍আর মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের।

অথচ ২০২১ সালে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ২৭১ জন আর মারা গিয়েছিল পাঁচজন। ফলে পরিসংখ্যান বলছে প্রতিবছর ডেঙ্গুতে পরিস্থিতি নাজুক হচ্ছে বন্দর নগরীতে। এ বছরও মশা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা খোদ জেলা সিভিল সার্জনের।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘গত তিন বছরের মধ্যে গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি একেবারে আমাদের সব ধারণাকে ছাড়িয়ে যায়। আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে এ বছর পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে।’

জুন থেকে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের মৌসুম শুরু হলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গিয়ে সেটা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই প্রবণতা বিবেচনায় রেখেই সিটি করপোরেশন মশা নিধনের জোরালো পদক্ষেপ নেবেন বলে দাবি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর।

তবে এখনো পরিকল্পিতভাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। মশা নিধনের ওষুধ ও লোকবলসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের এবার কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করেন তিনি।

বেসরকারি এক গবেষণায় দেখা গেছে, চট্টগ্রামের ৬০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং ও বায়েজিদ বোস্তামি এ পাঁচ এলাকায়। এসব এলাকাকে গবেষকেরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।