ঢাকাশনিবার , ২ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

রেস্টুরেন্টে ধূমপানের স্থান : মরণ ফাঁদ বর্জন করুন

সৈয়দ মাহবুব আলম তাহিন
মার্চ ২, ২০২৪ ২:২৭ অপরাহ্ণ । ৬৬৫ জন

বেইলী রোডে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারী শিশুসহ ৪৪ জন নিরীহ মানুষের। এই মানুষগুলো হয়তো তাদের পরিবার নিয়ে সপ্তাহের শেষদিনটি উপভোগ করতে আসছিল। এই দূঘর্টনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাফেরাত কামনা করছি।

কিন্তু এ নিরীহ মানুষদের মৃত্যুর জন্য এই ভবন কর্তৃপক্ষ, রেস্টুরেন্ট মালিক বা অন্য কোন পক্ষের দায়িত্ব অবহেলা আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।

করোনার পর হতে ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর ভিতরে একটি বিদেশি সিগারেট কোম্পানির মদদে গড়ে উঠছে ধূমপানের স্থান। সিগারেট কোম্পানিটি টাকা দিয়ে ধূমপানের স্থান করে দেয়। আর মালিকরা সেই টাকার লোভে সেই সুবিধা গ্রহণ করে। ভাল একটি বাথরুম নেই। কিন্তু সুসচ্ছিত ধূমপানের স্থান আছে।

মানুষের জীবন স্বাস্থ্যকে তোয়াক্ক না করে তারা ব্যবসার স্বার্থে সিগারেট খাওয়ার স্থান তৈরি করছে। তৈরি করছে মরণ ফাঁদ।

সিগারেট কোম্পানির এই কাজে মালিকদের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তি সমর্থন দিচ্ছে দেয়। তারা সিগারেট কোম্পানির সুরে অপপ্রচার চালায় সিগারেট খাওয়ার স্থান না দিলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ করোনার আগেও ঢাকার হাতে গোনা কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল ধূমপানে স্থান। আজ সিগারেট কোম্পানি ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট মালিকরা রেস্টুরেন্ট এর ভিতর তৈরি করছে ধূমপানের স্থান।

এসিযুক্ত এ রেস্টুরেন্ট এর ভিতর ধূমপানের স্থান শুধু পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি বৃদ্ধি করে না। বৃদ্ধি করে বেইলী রোডের মতো অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও।

বাংলাদেশ অধিকাংশ ভবন সরকারের নির্দেশনা অনুসারে তৈরি করা হয়নি। মানে না না ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা। তার উপর তৈরি হচ্ছে রেস্টুরেন্ট এর ভিতর ধূমপানের স্থান। রেস্টুরেন্টের ভিতর ধূমপানের স্থান এই নগরকে অগ্নি বোমায় কারখানায় রুপান্তর করছে।

২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিড়ি সিগারেটের ফেলে দেওয়া জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৭ হাজার ৭৯৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

যে সকল মালিক গ্রাহকদের কথা না ভেবে রেস্টুরেন্টকে ধূমপানে স্থান করে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি এবং অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির কারখানায় রুপান্তর করছে। নিজেদের স্বার্থে সেই সকল রেস্টুরেন্ট বর্জন করুন।

যত ভাল খাবার অর যতনামী রেস্টুরেন্ট হোক, নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে, সেই মালিক আর সিগারেট কোম্পানির ব্যবসার পণ্য হতে যাবে না। রেস্টুরেন্টগুলো বর্জন করলে তারা গ্রাহকদের গুরুত্ব উপলব্ধি করবে। দায়িত্বশীল হবে।