২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯২ জনে পৌঁছেছে। একই সময় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭২ জনে। গতকাল (২৯ অক্টোবর) মঙ্গলবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শুধু সোমবারই ৮২ জন নিহত ও ১৮০ জন আহত হয়েছেন।
লেবাননের সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের প্রায় ৩০টি গ্রাম ও শহরে ৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সবচেয়ে তীব্র হামলা করে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সিডনের সাইদা এলাকায়; যেখানে তিনটি ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর ফলে ছয়জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হন। তাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি।
সূত্র জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যে সংযোগকারী সীমান্ত সড়কে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তিনটি বিমান হামলা চালিয়েছে। এটি দুই দেশের মধ্যে উভয় দিক থেকে চলাচলকারী পথচারীদের বাধা সৃষ্টি করেছে। এদিকে, লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খিয়াম গ্রামে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে এখনও সংঘর্ষ চলছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
তারা জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গ্রামের কেন্দ্রস্থলে নিবিড় অভিযান চালাচ্ছে। এসব হামলায় ভারী মেশিনগান, আর্টিলারি শেল ও রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে। খিয়ামে ইসরায়েলি বাহিনী অগ্রসর হওয়ার পরে, লেবাননের একটি বাড়িতে বসবাসকারী ১৭ জন বেসামরিক নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সদর দপ্তর ও স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ইসরায়েলের কিব্বুতজিম, জারিত, বেইত হিলেল এবং ইসরায়েলি শহর মা’আ লট।
এতে আরও বলা হয়, লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মারজেইউন শহরের আকাশসীমায় একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েল তাদের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে।