সঠিক জায়গায় তদারকি না করে শুধু কয়েকটা বাজারে গিয়ে লোক-দেখানো তদারকি চালানো হয়। তাইতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে ডিম, ব্রয়লার মুরগি, আলু ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এতে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, সরকারি সংস্থার অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। তারা সঠিক জায়গায় তদারকি করে না। শুধু কয়েকটা বাজারে গিয়ে লোক-দেখানো তদারকি চালানো হয়।
ডিমের অস্থির বাজার প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক জালাল উদ্দীন বলেছেন, দাম না কমালে বেকারিতে ডিম ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হবে। এতে আগামীতে কেকসহ অন্যান্য আইটেমে কোনো ডিম পাবে না ভোক্তারা।
তিনি আরও বলেন, আমন্ত্রণ জানানো স্বত্বেও ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত নেই। এতে বোঝা যায়, ডিম উৎপাদকদের মধ্যে ঝামেলা আছে। এদের না ধরে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা শুধু খুচরা পর্যায়ে অভিযান চালান। ফলে অস্থিরই থেকে যায় বাজার।
সভায় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, পাইকারদের পাশাপাশি কাজী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে দেশের আনাচে-কানাচে থাকা তাদের রিটেইল আউটলেটগুলোতে ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি শুরু করতে হবে। এতে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে। এতে ভোক্তারাও স্বস্তি পাবে।
তবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করলে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে ৪৮ টাকা হালি ডিম বিক্রি করা সম্ভব হবে। একথা জানিয়ে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, তেজগাঁও আড়তে দৈনিক ডিমের চাহিদা ২০-২৫ লাখ পিস। বিপরীতে করপোরেট কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ১০ লাখ ডিম। বাড়তি ডিম বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করলে শুক্রবার প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা যাবে ১৫০ টাকায়। সে অনুযায়ী পাইকারি পর্যায়েও দাম রাখা হবে।