ঢাকাশনিবার , ১০ আগস্ট ২০২৪
  • অন্যান্য

শরীয়তপুরের জাজিরায় বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১০, ২০২৪ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ । ৬৩ জন

শরীয়তপুর, জেলার অন্যতম সবজি উৎপাদনকারী উপজেলা জাজিরা। জাজিরাকে জেলার শস্য ভান্ডারও বলা হয়। সারা বছরই মৌসুম ভিত্তিক সবজি উৎপাদন করে থাকেন এখানকার কৃষকরা। এবারও এখানকার কৃষকরা বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত দুই বছর কৃষকরা সবজির দাম ভালো পাওয়ায় আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন। মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের ফলে সবজির ভালো ফলনেরও আশা কৃষকসহ কৃষি বিভাগের। উপজেলায় এবার বর্ষকালীন সবজি আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। তুলনামূলক উঁচু জমিতে ইতিমধ্যে ১শ’ ৩৫ হেক্টরে সবজি আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা আশা করছেন আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই তারা বাজারে সবজি বিক্রি করতে পারবেন।

জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ওমর ফারুক বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জেলার সবজি ভান্ডার খ্যাত জাজিরা উপজেলার কৃষকরা বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমির উপযোগীতা অনুযায়ী তুলনামূলক উঁচু জমিতে অধিক লাভের আশায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ সম্পন্ন করেছেন। আশা করা যায় কোন ব্যত্যয় না ঘটলে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই কৃষক বাজারে সবজি তুলতে পারবেন। উপজেলার ৬শ’ ৫০ হেক্টর সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বাকিটা আগস্ট মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান।

কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের এ সময়ে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে কৃষককে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান করতে আমরা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছি। আমরা কৃষকদেরকে মালচিং ও বেড পদ্ধতিতে জমির প্রকারভেদে বেগুন, শশা, করলা, লাউ, কাঁচামরিচ, ধুন্দলসহ বিভিন্ন শাক—সবজি আবাদে উদ্বুদ্ধ করছি। আশা করছি কৃষকরা তাদরে কাংখিত ফলন পেয়ে অধিক লাভবান হবেন।

উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাশার গ্রামের কৃষক, ফরহাদ খান বলেন, গত দুই বছরে আমরা সবজির দাম ভালো পাওয়ায় এবার বেশি জমিতে সবজি আবাদ করছি। বড় কোন প্রাকৃতি দুর্যোগ বা সমস্যা না হলে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ ২০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।

একই গ্রামের কৃষক মো: ফারুক মোল্লা বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় আমাদের সবজি খুব সহজেই ঢাকায় পাঠাতে পারছি বলে আগের তুলনায় দাম বেশি পাচ্ছি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতায় তাই আমরাও আগের তুলনায় কম উৎপাদন খরচে বেশি লাভবান হচ্ছি।