ঢাকামঙ্গলবার , ৩১ অক্টোবর ২০২৩

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতে হাঁটা ও গণপরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩১, ২০২৩ ৭:৪৯ অপরাহ্ণ । ২৯৮ জন

ঢাকা শহরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপদ, পরিবেশ বান্ধব মাধ্যমের অপ্রতুলতার কারনে শিক্ষার্থীসহ অবিভাবকরা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য ঢাকা শহরে যানজট ও দূষণের অন্যতম কারন।

আজ ৩১ অক্টোবর ২০২৩ সকাল ১১.০০ টায় ঢাকা সড়ক পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এবং সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি এ্যফেয়ার্স-সিএলপিএ এর যৌথ আয়োজনে ডিটিসিএ অডিটরিয়ামে “ঢাকা শহরে শিক্ষার্থীদের স্কুল যাতায়াতে তাদের পরিবহন মাধ্যম নির্বাচন ”- শীর্ষক আলোচনা সভা ও এ বিষয়ে গবেষণা কর্মের জন্য সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

ডিটিসিএ এর নির্বহিী পরিচালক জনাব সাবিহা পারভীন -এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্তিত ছিলেন ডিটিসিএ এর অতি: নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান। সভায় সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সেক্রেটারী, সিএলপিএ। সভা সঞ্চালনা করেন ডিটিসিএ এর ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হায়দার কামরুজ্জামান এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএলপিএ এর পলিসি এনালিষ্ট আসরার হাবীব নিপু। সভায় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দ, উন্নয়ন কর্মী এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।

আকতার মাহমুদ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং বাসযোগ্য পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিলে অবশ্যই আমাদের ভালো ফুটপাত এবং মানসম্মত গণ পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি স্কুল বাসের বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন যে উদ্দোগ নিয়েছিলেন তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

মাহবুবে রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতে এই গবেষণা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি গবেষণায় শিক্ষার্থীরা কোন মাধ্যমে যাতায়াত করতে চায় এ বিষয়টি নিয়ে আসা এবং পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে কর্মসূচি গ্রহণের সুপারিশ করেন।
মাকসুদ হাশেম বলেন, আমরা প্রশস্ত ফুটপাত গড়ে তুলছি কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। বিশেষ করে ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। কমিউনিটি ভিত্তিক বাসা থেকে স্কুল পর্যন্ত হেঁটে যাতায়াতের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।

ডিটিসিএ এর অতি: নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলম বলেন, ঢাকা শহরে ৬৫ শতাংশ যাতায়াত হয় পায়ে হেঁটে। এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা যারা হেঁটে যাতায়াত করেন তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা এবং যারা গাড়ি ব্যবহার করছেন তাদের একটিভ মোডে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে করণীয় কি এই বিষয়গুলো তুলে আনতে চাই।

সাবিহা পারভীন তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এই গবেষণা নিরাপদ এবং জন ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সমাজের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের সমন্বয়ে বিভিন্ন কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবার আওতায় সার্ভিসটি পরিচিত করতে হবে এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।