ঢাকারবিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

শুল্কের চাপে বেড়েছে রিকন্ডিশন গাড়ির দাম, কমছে আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৩:০৩ অপরাহ্ণ । ৬ জন

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি একেবারে চকচকে নতুন গাড়ির অনুভূতি না দিলেও চলে দীর্ঘদিন। যা একদিকে বিলাসিতা মেটায়, অন্যদিকে অনেকটাই আরাম দেয় পকেটকেও। সেইসঙ্গে গতি আনে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে। যে কারণে বাংলাদেশের বাজারে আমদানি হওয়া গাড়ির ৭৫ শতাংশই রিকন্ডিশন্ড বা পুরোনো গাড়ি।

ব্যক্তিগত বা উদীয়মান ব্যবসার প্রয়োজন মেটাতে বছর দুয়েক আগেও ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে মিলত রিকন্ডিশন গাড়ি। বর্তমানে তার দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। এতে হতাশ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।

রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) তথ্য বলছে, জিএফএক্স চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ২৫৭টি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ কম। এ অবস্থায়, এলসি মার্জিন ও শুল্ক কমানোর দাবি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বারভিডার।

বারভিডা সভাপতি আব্দুল হক বলেন, গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক কর অনেক বেশি। বিশেষ করে ডলারের মূল্য পতনের কারণে ৪০-৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে। ফলে ক্রেতারা এত গাড়ির দাম অ্যাফোর্ড করতে পারছে না। শুল্ক ফিক্সড করে দেয়া দরকার। কমার্শিয়াল গাড়িগুলোর বয়স ১০ বছর করা উচিত।’

এই গাড়ির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলে একদিকে যেমন গতি হারাবে নতুন নতুন উদ্যোগ, কমবে আয়ের সুযোগ, অন্যদিকে বাড়বে ব্যবসার খরচ। গাড়িকে তাই মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে শুল্ক কাঠামো পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবি ড. মাহফুজ কবীর বলেন, রিকন্ডিশন গাড়ির দাম যেন কর বৃদ্ধির মত না বাড়ে। যাতে দেশের ভেতরের বাজার এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা চাপের মধ্যে না পড়ে। প্রয়োজনে নীতি পরিবর্তন করতে হবে। যাতে বাজারটা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে। সেইসঙ্গে অন্য বাজারও যেন প্রতিষ্ঠত হয় সেটিও দেখতে হবে।’