অক্টোবর মাসের বেতনের দাবিতে ফের চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ শুরু করেছে শ্রমিকরা। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উভয়দিকে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
পুলিশ ও কারখানা শ্রমিকরা জানায়, সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন গাজীপুর মহানগরীর সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্টিল পার্ক রয়েছে। ওই পার্কে পোশাক তৈরি কারখানাসহ একাধিক কারখানা রয়েছে। যেখানে শ্রমিক, স্টাফ ও কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪০ হাজার লোক কাজ করে। প্রতিমাসে তাদের বেতন দিতে হয় ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের বেতন সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে পারছে না। প্রতিমাসেই শ্রমিকরা আন্দোলন করে বেতন আদায় করছে।
গত কয়েক মাসের মতো চলতি মাসেও অক্টোবরের বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। শুক্রবার কারখানা বন্ধ থাকায় সেদিন কোনও আন্দোলন হয়নি। এরপর শনিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে ফের শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। রাত পৌনে ৮ টায় দিকে বেতন পাওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
ফের শ্রমিকরা রোববার সকালে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এ পর্যায়ে তারা চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থনে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকরা বেতন ছাড়া সড়ক ছাড়তে নারাজ।
বেক্সিমকোর শ্রমিক ফজলুল হক বলেন, গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন ছাড়া বেতন পাচ্ছি না। প্রতিমাসে এভাবে বেতন নিতে ভালো লাগে না। বেতনটা সময় মতো পেলে কেউ আর আন্দোলনে যাবে না। বেতন দিক আমরা কাজে চলে যাব।
অপর শ্রমিক মো. কাজিমুদ্দিন বলেন, ‘বেতন না দিলে সড়ক থাইকা যাইতাছি না। সড়ক বন্ধ না করলে সরকারের টনক নড়ে না। হেরা আমাগো কথা হোনবার চায় না।’
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সকাল ৯ টা থেকে সড়ক অবরোধ শুরু করে। তাদের বুঝয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।