পরিবেশ রক্ষায় সেন্টমার্টিনে যাতায়াতে বিধিনিষেধ পর্যটন শিল্পের জন্য অপরিণত সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন ট্যুর অপারেটররা। এ সিদ্ধান্তকে দেশের পর্যটনের জন্য ধ্বংসাত্মক বলে দাবি করেছেন তারা। সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষার নামে সরকারি এ সিদ্ধান্তে সেন্টমার্টিনের ১০ থেকে ১২ হাজার বাসিন্দাসহ ৬ লাখ পর্যটনকর্মীর জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ার দেন অপারেটররা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষার নামে দেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিনকে ঘিরে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, সেটা তারা তুলে নিক। তারা আরও চিন্তা করুক। সেন্টমার্টিনে সাড়ে ১২ হাজার মানুষের বসবাস, তারা সবাই বেকার হয়ে যাবে। সেন্টমার্টিন এমন একটা জায়গা, যেখানে শতভাগ মানুষ পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রিক। পরিবেশ মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটার আমরা বিরোধিতা করছি না। তবে আমাদের বিষয়টিও দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা চাই, একটা নীতিমালার মধ্যে রেখে সেন্টমার্টিনে ব্যবসা চালু রাখা হোক।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রাফেউজ্জামানের দাবি করেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে খাতের ৬ লাখ অপারেটর। এসময় সরকারকে জনগণের পালস বোঝার আহ্বান জানান। মানববন্ধনে পরিবেশ রক্ষা করেই অপারেটররা কাজ করেন দাবি করে পর্যটন মৌসুমের ৪ মাস নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ চান তিনি।
পরিবেশ রক্ষায় সম্প্রতি দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এর আওতায় নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যটকরা থাকতে পারলেও ফেব্রুয়ারিতে বন্ধ থাকবে যাতায়াত। প্রতিদিন সেন্টমার্টিনে প্রবেশ করতে পারবেন দুই হাজার পর্যটক।