জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ হাজার চিঠি পাঠিয়েছে বাটা।
জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ২০২০ সালে ‘‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়’’ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। নির্দেশিকাটির ৭.২ (৭.২.৭) ধারায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ কতৃর্ক তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য বাৎসরিক বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতির ত্রৈমাসিক/বাৎসরিক প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগের ফোকাল পয়েন্ট ও মনিটরিং টিমের নিকট দাখিল করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
উক্ত নির্দেশিকা বাস্তবায়ন এবং নির্দেশিকা অনুসারে বাজেট বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে সারাদেশে সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ৫৪৫৫ চিঠি প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট । উল্লেখ্য ৫৪৫৫ চিঠির মধ্যে ৬১টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ৩২৮টি পৌর সভার মেয়র, ৪৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
চিঠিতে জোটের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ‘‘তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষতি বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। উক্ত প্রত্যয় বাস্তবায়নে গাইড লাইনটি বাস্তবায়ন এবং স্থানীয় বেসরকারি সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে তামাক নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দ প্রদান করা প্রয়োজন।’’ ইতিমধ্যেই এ নির্দেশিকা অনুসারে সারাদেশে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ তামাক নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবীদার। সারাদেশে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগ গৃহিত হলে বেসরকারী সংস্থাসমুহ মাঠ পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত থেকে ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের সহযোগি হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে “জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (এনআইএলজি)” বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ৬৬টি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে।