দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিতে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে সেবা দেয়া। সকল সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সবকিছুই বিনামূল্যে হবে। আমার মনে হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিতে সমন্বয়ের দরকার আছে। কারণ, আমরা যদি একই লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন দিক থেকে কাজ করি তাহলে ফলাফল ভালো হয় না।’
গতকাল (২৯ জুন) শনিবার অনলাইনে (ভার্চুয়ালি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সেবা’ বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এ কথা বলেন।
তিনি এসএসকে’র সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠীকে সেবা দেন। এ ক্ষেত্রে আপনারা যদি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের সাথে সমন্বয় করে কার কি প্রয়োজন এটার ভিত্তিতে কাজ করেন, সেটা অধিকতর ফলপ্রসূ হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও ৭টি থানা/উপজেলায় এসএসকে সেবা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র পরিবার বিনামূল্যে ১শ’ ১০টি রোগের চিকিৎসা পাবে। এর পাশাপাশি এ কর্মসূচিতে সামাজিক বিমার আওতায় আর্থিক সুবিধারও ব্যবস্থা রয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ, ইনডোর বিভাগ, আউটডোর বিভাগ, এনসিডিসি কর্নারসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ডাক্তার, রোগীদের সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাসেল’স ভাইপারের এন্টিভেনম সংরক্ষণ বিষয়ে খোঁজ নেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের জিন্দা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে, প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী পরিচর্যা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে খোঁজ নেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।