ঢাকাবুধবার , ২৯ নভেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

স্মোকিং জোন বাতিল করতে প্রয়োজন শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ । ১৮৪ জন

পাবলিক প্লেসে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা (ডিএসএ)’ বা ’স্মোকিং জোন’ বাতিল করতে একটি শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিষ্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ- এটিজেএফবি’র নেতারা।

আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ বিষয়ে এটিজেএফবি’র সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা জানান তারা।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, কমিউনিকেশন ম্যানেজার হুমায়রা সুলতানা এবং বাসস-এর অনলাইন ইনচার্জ ও এটিজেএফবি সভাপতি তানজিম আনোয়ার।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে পাবলিক প্লে¬স, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে স্মোকিং জোন থাকার কারণে পরোক্ষ ধুমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ীরা। এতে করে ৮৫% হারে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, স্মোকিং জোনকে ব্যবহার করে ৭৩% রেস্তোরাঁতে তামাক কোম্পানী বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শন করছে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, কানাডা, থাইল্যান্ড ও নেপালসহ বিশ্বের ৬৭টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে।

এ সময় মোখলেছুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাশ হলে দেশে আইনটি এফসিটিসি’র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে। ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠণ তরাণিত্ব হবে।

আবদুস সালাম মিয়া বলেন, হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন জনপরিসর ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা (ডিএসএ) থাকলে অধূমপায়ীদের পাশাপাশি সেবাকর্মীরাও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। থাইল্যান্ড, নেপাল, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ সূচকে ভালো করলেও বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। তবে ডিএসএ বাতিলের প্রস্তাবসংবলিত খসড়া সংশোধনীটি পাস হলে বাংলাদেশও এসব দেশের কাতারে পৌঁছাবে।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিবিসি’র বিশেষ প্রতিনিধি রাজীব ঘোষ, বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রির্পোটার আকবর হোসেন, চ্যানেল ২৪ এর মাহফুজ কামাল, কালের কন্ঠের মাসুদ রুমী, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আশিক হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশনের রিতা নাহার, আজকের পত্রিকার মঞ্জুরুল ইসলাম, আরটিভির জুলজাস কবির, বিজনেস স্টান্ডার্ডের কামরান সাদিক, এটিএন নিউজের সাব্বির আহম্মেদ, ঢাকা পোস্টের আদনান রহমানসহ অনেকে।