লাগামহীন ডিমের বাজারে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। কোনোভাবেই কমছে না দাম। ডিমের অস্থির এই বাজারে মিললো আরো একটি দুঃসংবাদ! রবিবার (১৩ অক্টোবর) তেঁজগাও থেকে ডিম আনতে যায়নি কোনো ট্রাক। এর ফলে রাজধানীতে ডিমের সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
ডিমের দাম ভোক্তার ক্রক্ষমতার মধ্যে রাখতে গত সেপ্টেম্বরে আমদানির অনুমতি দেয় তৎকালীন সরকার। এরপর দাম বেঁধে দেয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতি পিস ডিমের জন্য ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকারও বেশি!
কারওয়ান বাজারে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ তো মাছ মাংসে যেতেই পারি না! ডিমটা আমাদের দরকার। অন্তত ডিমের ডামটা কমায় রাখুক।’
আরেকজন বলেন, ‘এভাবে দাম বাড়তে থাকলে ডিম খাবো কীভাবে! আগে প্রতিদিন ডিম খেতাম। এখন বাসায় বলে দিয়েছি, সপ্তায় দুদিন খাবো।’
এদিকে, সরকার নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে ও বিক্রি করতে না পারার অজুহাতে সংগ্রহ বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার রাজধানীর তেঁজগাও থেকে দেশের কোথাও কোন ট্রাক ডিম আনতে যায়নি।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ বন্ধ থাকবে।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ আমান বলেন, ‘প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে একটা রেট বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা নির্ধারণ দামে ডিম কিনতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা গাড়ি বন্ধ করে রেখেছি।’
সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়ীদের হিসাব বলছেন, তেজগাঁও আড়তে সরবরাহ বন্ধ থাকলে রাজধানীতে প্রতিদিন ১৫-২০ লাখ পিস ডিমের ঘাটতি থাকবে।